আগরতলা : বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ই-পিডিএস ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্রভবনে এক অনুষ্ঠানে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। রাজ্যভিত্তিক ভোক্তা সচেতনতামূলক সেমিনার ও বিদ্যালয়- কলেজ স্তরে গঠিত গ্রাহক ক্লাবের সূচনা হয় সোমবার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কনজিউমার ক্লাবের উদ্বোধন হয় রাজধানীর রবীন্দ্রভবনে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিধায়ক দীপক মজুমদার, হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, খাদ্য দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হয়েছে নতুন ভাবে খাদ্য দপ্তরের তরফে তৈরি হওয়া পিভি সি রেশন কার্ডের।এদিন মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন গ্রাহকের হাতে এই রেশন কার্ড তুলে দেন।এছাড়া উৎসবের উপহার হিসেবে খাদ্য দপ্তরের তরফে গ্রাহকদের মধ্যে বিনামূল্যে সুজি, ময়দা ও চিনি দেওয়া কর্মসূচী এবং ত্রৈমাসিক পত্রিকারও সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে আলোচনা করে করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। ভোক্তাদের সচেতনতার উপরেও দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা যদি ঠিকভাবে থাকে এবং ঠিক ভাবে চললে সবকিছু আদায় করা যায়। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ই-পিডিএস ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পিভিসি রেশন কার্ড দেওয়া হবে পুরনো কার্ডের বদলে। তিনি বলেন, নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে খাদ্য দপ্তর ও রাজ্য সরকার এগিয়ে যেতে চাইছে। এছাড়াও এদিন খাদ্য দপ্তরের অধীন ৬ শতাধিক শ্রমিককে দুই হাজার টাকা করে পূজা অনুদান দেওয়া কর্মসূচীর সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।
রবীন্দ্র ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে একগুচ্ছ কর্মসূচীর সূচনা
91
previous post