আগরতলা : সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৭ অক্টোবর এক রায় দিতে গিয়ে চার সদস্য এক মত প্রকাশ করে এবং একজন বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করেন। এই রায়ে নাগরিকত্ব আইনের ‘৬-এ’ ধারাকে বৈধ ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর অসমে আসা বাঙালী শরনার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয় বলে ঘোষণা করেছে। ৬-এ ধারাটি নাগরিকত্ব আইনে যুক্ত হয়েছে। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি সম্পাদনের পর এবং তার আগে ১৯৫৫ সালে ভারতের নাগরিকত্ব আইনে ছিল জন্মসূত্র, উত্তরাধিকার সূত্র, বৈবাহিক সূত্রে যে কেউ ভারতের নাগরিক হতে পারে। ভারতের সংবিধান মেনে কোন রাজ্যে কমপক্ষে ৫ বছর একটানা বসবাস করলে যে কোন মানুষই নাগরিকত্ব অর্জনের যোগ্যতা পেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণ তথা অসম চুক্তির ফলে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন ও মহামান্য কোর্টের রায়ের ফলে অসম, ত্রিপুরা, উত্তর পূর্বাঞ্চল সহ গোটা দেশে বাঙালীদের মনে এখন নাগরিকত্ব অর্জনের প্রশ্নে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কের আরো কারণ হলো, অসম রাজ্যে ২০১৯ সালে এন আর সি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষের মতো বাঙালিকে বিদেশী চিহ্নিত করে ডিটেনশান ক্যাম্পে পাঠাবার ব্যবস্থা করা ও সাম্প্রতিক কোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী অসম- পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ বাঙালির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে অসমচুক্তি পুরোপুরি কার্যকরী করার যেমন তোড়জোর শুরু হয়েগেছে তেমনি শীঘ্রই গোটা উত্তরপূর্বাঞ্চল তথা ত্রিপুরা সহ অন্যান্য অঞ্চলেও বাঙালী বিতাড়নের দাবী উঠবে। এই আশঙ্কা তীব্র ভাবে বর্তমানে কাজ করতে শুরু করেছে। শনিবার আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন দলের রাজ্য সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।
অবিভক্ত ভারতের ভূমিপুত্র বাঙালীদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি আমরা বাঙালীর
74
previous post