আগরতলা : আজ উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভ পুণ্যস্নান করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে নিজেকে নিমজ্জিত করে ত্রিপুরা রাজ্যের সকল পরিবারের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানান, মহাকুম্ভ উপলক্ষে আজ প্রয়াগরাজ তীর্থে পৌঁছে পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যস্নানে সামিল হই। এক ঐশ্বরিক শক্তি ও আধ্যাত্মিক পরিবেশের মধ্যে একে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে অনুভূত হয়েছে। আমি ত্রিপুরার মানুষের মঙ্গল, অগ্রগতি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য গঙ্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেকদিন ধরে মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান করার ইচ্ছা ছিল। আসার বিষয়টি ২/৩ বার পিছিয়ে যায়। এখানে এসে খবর পেলাম দেশ ও দেশের বাইরে থেকে মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ সমাগম হয়েছে। আমিও শেষপর্যন্ত এখানে এসে পৌঁছলাম। মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে মনে ব্যাপক শান্তি অনুভূত হয়েছে। আর আমি ত্রিপুরাবাসীর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনায় করেছি। আগামীতে রাজ্য যাতে আরো এগিয়ে যায় এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ হয় – এই প্রার্থনা করেছি।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের কথা বলেন। তিনি যেভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবে আমরাও চেষ্টা করছি ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ডাঃ সাহা বলেন, এখানে এসে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য প্রত্যক্ষ হয়েছে। এখানে যেভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এবং যেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হয়েছে সেজন্য আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ ও রাজ্যগুলি এগিয়ে চলছে। যে যে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার রয়েছে সেখানে ডাবল ইঞ্জিনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর বাদে দিল্লিতে আবার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে কংগ্রেস শূন্য পেয়েছে। কমিউনিস্টরা নোটার সঙ্গে রয়েছে। আর আপ তো চলেই গিয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কেউ এগিয়ে যেতে পারে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে কিভাবে দেশ ও রাজ্য চালাতে হয় সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে শিখতে হবে। উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ভাজপা শাসিত রাজ্যগুলিও এগিয়ে চলছে। আমি এখানে উপস্থিত কার্যকর্তা ও প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থল, যা বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন পুণ্যার্থীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রস্থল।
এই প্রচুর সংখ্যক ভক্তকুলের সমাগমেও মহাকুম্ভে যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানান।