আগরতলা : সোমবার ৬ দিনের মাথায় ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্সে করে রাজ্যে এসে পৌছায় সপ্তর্ষির নিথর দেহ। আগরতলার রাম নগর এলাকার বাসিন্দা সপ্তর্ষি দাস। মা-বাবার একমাত্র সন্তান সপ্তর্ষি উত্তর প্রদেশের শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। ডাক্তারি পড়ুয়া সপ্তর্ষি দাস সহ মোট ৪ জন এম.বি.বি.এস পড়ুয়ার মৃত্যু হয় উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায় দিল্লি-লখনউ জাতীয় সড়কে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায়। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে সজোরে ধাক্কা মারে সপ্তর্ষিদের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চার বন্ধুর। দেশ জুড়ে বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে সপ্তর্ষির মৃতদেহ রাজ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে দেখা দেয় বড় সমস্যা। বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্সে করে সপ্তর্ষির মৃতদেহ রাজ্যে নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে সপ্তর্ষির নিথর দেহ নিয়ে ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্স পৌছায় রামনগরস্থিত তাঁর নিজ বাড়িতে। মঙ্গলবার নিহত সপ্তর্ষির বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। কথা বলেন মৃত সপ্তর্ষির মা-বাবার সাথে। তাদেরকে সমবেদনা জানান বিরোধী দলনেতা। পরে এক সাক্ষাৎকারে জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান সপ্তর্ষির মা-বাবাকে সান্তনা দেওয়ার কোন ভাষা নেই। সপ্তর্ষির মৃত্যু এই সমাজের জন্য বড় ক্ষতি। বিরোধী দলনেতা সপ্তর্ষির মা-বাবা সহ আত্বিয় পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।
সপ্তর্ষির বাড়িতে গিয়ে পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানালেন বিরোধী দলনেতা
4