আগরতলা : জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক পর্যালোচনামূলক আলোচনাসভার দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।প্রজ্ঞাভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীন জাতীয় পতঙ্গ বাহিত রোগ বিভাগের যুগ্ম সচীব রাজীব মাঁঝি, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরার যুগ্ম মিশন অধিকর্তা বিনয় ভূষন দাস, রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ডা: নূপুর দেববর্মা সহ অন্যরা।তারা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীন জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্যোগে উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য সহ উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়কে নিয়ে ত্রিপুরায় ১৪ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক পর্যালোচনামূলক আলোচনাসভা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাভবনে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা এল এস চ্যাঙসাৎ। ৩ দিনের পর্যালোচনামূলক আলোচনাসভায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস প্রভৃতি পতঙ্গবাহিত রোগ এবং প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তাছাড়া এই কর্মসূচীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পর্যলোচনা করা হয়। জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প মূলত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, কালাজ্বর এবং লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিসের মতো ৬ টি পতঙ্গ বাহিত রোগের সাথে মোকাবিলা করছে। তাদের মধ্যে ত্রিপুরায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ছাড়াও চিকুনগুনিয়া এবং জাপানিজ এনকেফেলাইটিসের রোগী পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় কালাজ্বর এবং লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস জনিত কোনও রোগের সংক্রমণ নেই।উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মনিপুর,নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুনাচলপ্রদেশ, ত্রিপুরা সহ উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড় থেকে আগত প্রতিনিধিরাও এই আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছেন। জনসাধারণের কাছে যেন আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া যায় তার উপর আলোকপাত করেন এল এস চ্যাঙসাং। তিনি কমিউনিটি হেলথ অফিসার, আশা কর্মী এবং আশা ফেসিলিটেটরদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
জাতীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক পর্যালোচনামূলক আলোচনাসভা
615
previous post