আগরতলা : মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সোমবার উদ্যানবিদ্যা দপ্তরের পর্যালোচনা সভা। আলোচনায় উঠে আসে বিভিন্ন বিষয়। পর্যালোচনা সভায় কৃষি ও কৃষককল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, উদ্যানবিদ্যা ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় বিরাট সুযোগ রয়েছে। সেজন্য এই ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।মূল কথা হল হল কৃষকদের আয় যাতে বেশি করে হয়।সেজন্য রাজ্য সরকার সব সময় চেষ্টা করছে।উদ্যানবিদ্যা দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় একথা বললেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।সোমবার শহরতলীর নাগিছড়ায় রাজ্য উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রে উদ্যানবিদ্যা দপ্তরের পর্যালোচনা সভা হয়।এদিন মন্ত্রী সহ আধিকারিকরা উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয় ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, উদ্যান বিদ্যায় যাতে স্বয়ম্ভর হওয়া যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। আলু বীজ উৎপাদনে রাজ্য ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষে ত্রিপুরা রাজ্য স্বয়ম্ভর হবে। তিনি জানান স্বল্প মূল্যে আলুর বীজ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হচ্ছে তিন হাজার অতিরিক্ত।মন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও বলেন, লক্ষ্য হল দলমত নির্বিশেষে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। জি এস ডি পির অধিকাংশ আসে কৃষি থেকে। সেই জন্য কৃষিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী এদিন আরও জানান সম্প্রতি বন্যায় যেসব কৃষকের জমিতে বালি পড়েছে তাদেরও আর্থিক ভাবে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে দেওয়া হবে সেই টাকা। সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ও সর্বনিম্ন ২২০০ টাকা পাবেন কৃষকরা।এদিন পর্যালোচনা সভা শেষে মন্ত্রী উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন এবং ঘুরে দেখেন।এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সোমবার উদ্যানবিদ্যা দপ্তরের পর্যালোচনা সভা
55