আগরতলা : সকলে মিলে এক সাথে কাজ করার ফলে বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় সাধারন মানুষও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বহু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে অর্থ দান করেছে।মঙ্গলবার রাজধানীর রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভয় মিশনের উদ্যোগে বন্যা ত্রান বিতরণ ও ম্যানেজমেন্টের উপর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক বিশাল কুমার, সদর মহকুমা শাসক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে এদিন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন খুব কম সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান মনিপুরে যখন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ তখন সেখানে আটকে পড়া ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার মাধ্যমে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারও সাহায্য করেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ১২ টি নদীর মধ্যে বন্যায় সময় ১১ টি নদীর বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বয়ে যায়। ৬ টি নদীতে জল স্তর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যায় দক্ষিন জেলা, গোমতী জেলা ও সিপাহীজলা জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন গত বছরের আগস্ট মাসের বন্যা মোকাবিলায় সকল স্তরের আধিকারিকরা ঝাপিয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবি সংগঠনও সরকারের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছে।
বন্যা ত্রান বিতরণ ও ম্যানেজমেন্টের উপর এক অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
33