কলকাতা : উৎসবের মরসুম মানেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আড্ডা আর সঙ্গে দারুণ ভূরিভোজ। ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে দুর্গাপুজো। সামনেই রয়েছে দীপাবলি, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো। তাই লাগাতার জারি থাকবে আনন্দের মেজাজ। জারি থাকবে খাওয়াদাওয়াও। ফলস্বরূপ, দুর্গাপুজোর আগে প্রবল চেষ্টায় যে ওজনটা ঝরিয়েছিলেন তা আবার বেড়ে যাবে। তবে উৎসবের মাঝেও একটু নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ভাবছেন কী ভাবে?
১) পর্যাপ্ত জল খাওয়া: দিনে কতখানি জল খাচ্ছেন উৎসবের দিনগুলিতে তার হিসাব রাখা কঠিন। তবে ওজন বাগে রাখতে চাইলে জল খাওয়ার ব্যাপারে কিন্তু বাড়তি নজর দিতেই হবে। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস জল খান। শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় জল থাকলে খিদে কম পায়। তাই ভাজাভুজি, মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে না।
২) দীপাবলি মানেই মিষ্টিমুখ। আর ওজন বাড়ার ভয়ে এই সময় মিষ্টি না খেলে মনটা বড়ই খারাপ লাগে। বিশেষ করে আপনার সামনে যখন আর পাঁচজন মিষ্টি খায় তখন নিজেকে আটকে রাখা সত্যিই মুশকিলের ব্যাপার। দোকানের মিষ্টিতে অত্যধিক মাত্রায় ঘি, চিনি মেশানো থাকে, যা খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। অথচ বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে নিলেই সমস্যা মিটে যায়। তখন চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন সুগার ফ্রি। মিষ্টিতে ঘিয়ের পরিমাণ কতখানি দেবেন তা-ও থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে। প্রয়োজন শুধু ঘণ্টাখানেক
৩) উৎসবের দিনগুলিতে জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার সময় হয় না। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দিনে মিনিট ১৫ কার্ডিয়ো করলেই হবে। জোরে জোরে হাঁটাহাঁটি, জগিং, স্কিপিং, জাম্পিং জ্যাক বা স্পট জগ বেছে নিন পছন্দের মতো কার্ডিয়ো।
৪) অনেকেই রাতে শেষপাতে একটা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন৷ এটা একেবারেই ভুল৷ এ ভাবে মিষ্টি খাবেন না। এই সময় আমাদের বিপাকক্রিয়া খুব ধীর গতিতে হয়৷ তাই মিষ্টিতে থাকা চিনি খুব সহজে শরীরে মেদ হিসাবে জমে।
৫) উৎসবের মরসুমে নিমন্ত্রণ লেগেই থাকে। আর সেখানে গিয়েই একের পর এক লোভনীয় খাবার দেখে নিজেকে আটকে রাখা যায় না। চেষ্টা করুন কারও বাড়িতে যাওয়ার আগে এক বাটি স্যালাড বা স্যুপ খেয়ে যেতে। পেট ভরা থাকলে খুব বেশি ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছে করবে না।