আগরতলা : এনএলএফটি-এটিটিএফ-এর নেতা সহ সদস্যরা সকলে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভুমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক আত্মসমর্পণ করলো এনএলএফটি ও এটিটিএফ জঙ্গিরা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। এদিন জম্পুইজলাস্থিত টিএসআর সপ্তম বাহিনীর সদর দপ্তরে হয় এই আত্মসমর্পণ। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, পুলিসের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ পদস্থ আধিকারিকরা। সম্প্রতি দিল্লিতে রাজ্য-কেন্দ্র ও এনএলএফটি-এটিটিএফ-র মধ্যে ত্রি-পাক্ষিক শান্তি চুক্তি হয়। এই ত্রি-পাক্ষিক শান্তি চুক্তির ফলে এনএলএফটি-এটিটিএফ-এর নেতা সহ সক্রিয় সদস্য ও সহযোগীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ঘোষণা দেয়। সেই মতো মঙ্গলবার হয় আত্মসমর্পণ। এদিন একসঙ্গে দুই বৈরী গোষ্ঠীর ৬ শতাধিক বৈরী নেতা সহ সদস্যরা অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সিপাহীজলা জেলার জম্পুইজলাস্থিত টিএসআর সপ্তম বাহিনীর সদর দপ্তরে হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।উগ্রবাদী দলের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদী বারে বারে বলেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন না হলে ভারতের উন্নয়ন হবে না। কোন রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি না থাকলে সেই রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এদিন আত্মসমর্পণের সময় বৈরীরা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে।
আত্মসমর্পণ করলো এন এল এফ টি ও এ টি টি এফের বৈরীরা
107