Home First post হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

৬ মাসের মধ্যে হাওড়া নদীর গর্ভে জমে থাকা আবর্জনা সরানোর উদ্যোগ রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

by sokalsandhya
0 comments

আগরতলা : রাজধানী সংলগ্ন হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে হাওড়া নদীর গর্ভে জমাকৃত পলি, স্তূপিকৃত আবর্জনা এবং নদীর চর পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।

হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া সম্পর্কে বিধায়ক দীপক মজুমদারের আনীত দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

 

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, হাওড়া নদীর অববাহিকায় ১৯০০ সালের আগে জনবসতি খুবই কম ছিল এবং পর্যায়ক্রমে সময়ের সাথে সাথে আগরতলা শহরে (রাজধানী শহর) হাওড়া নদীর তীরে জনবসতি বৃদ্ধি হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে হাওড়ার তীরের বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য হাওড়া নদী ব্যবহার করে আসছে। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শুধু নদীর জলই দূষিত করেনি, বরং নদীর রূপগত পরিবর্তনেও ভূমিকা রেখেছে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে হাওড়া নদীর প্রবাহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে বৃহত্তর আগরতলা শহরের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার পানীয় জল এবং কৃষিকাজের জলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই নদীর জলের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়া নদীর ধারে কিছু জায়গায় রাস্তা ও বাঁধ এবং নদীর আড়াআড়িভাবে সেতুর স্তম্ভ, কজওয়ে, জল সংগ্রহের জন্য বালির ব্যাগ ইত্যাদি অবস্থানের জন্য নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ পরিবর্তন হচ্ছে এবং নদীর নাব্যতা ও ক্রমে ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ড যেমন, ভূমি-ব্যবহার পরিবর্তন, বালি খনন, জল সংগ্রহ, কঠিন বর্জ্য নিষ্পত্তি, কৃষি, এবং ইট শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য টিলা জমি কাটাও নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে, নদীর প্রাকৃতিক গতিশীলতা পরিবর্তন করে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে গাছপালা কাটার কারণে বৃষ্টি তথা বন্যার জলে হাওড়া নদীর বিস্তীর্ণ অববাহিকা থেকে মাটি ক্ষয় হয়ে নদী গর্ভে জমা হওয়ার কারণে হাওড়া নদীর নাব্যতা হ্রাস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং হাওড়া নদীর জল ধারণ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। নদীতে পলি জমার কারণে এবং নিরবিচ্ছিনভাবে নদী গর্ভে আবর্জনা স্তূপিকরণের কারণেও অল্প বৃষ্টিতে প্লাবণের সৃষ্টি হয়।

 

এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্তমন্ত্রী আরো জানান, হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য পূর্ত দপ্তর (জল সম্পদ) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেন্সিং থেকে চন্দ্রপুরের দেবতা ছেড়া সেতু পর্যন্ত (দৈর্ঘ্য – ৯.৩৩ কি.মি) হাওড়া বাঁধের বন্যা প্রাচীর, সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরনের উদ্যোগ নিয়েছে। হাওড়া নদীর বাঁধের জন্য ড্রাফ্ট কনসেপ্ট পেপার তৈরি করা হয়েছে মোট ২৪৮.০০ কোটি টাকার এবং তহবিলের প্রাপ্যতার উপর কাজ ইপিসি মোডে হাতে নেওয়া হবে। এছাড়াও হাওড়া নদীর “ড্রেজিং এন্ড রেজিভেনেশন” এর জন্য আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের সহায়তায় ৮.১২.২০২০ তারিখে মোট ১৪৫.৭১ কোটি টাকার একটা কনসেপ্ট পেপার ভারত সরকারের জল শক্তি দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

ডাঃ সাহা জানান, বর্তমানে পূর্ত দপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থেকে হাওড়া নদীর গর্ভে জমাকৃত পলি, স্তূপিকৃত আবর্জনা এবং নদীর চর পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। যা আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গে সামগ্রিক জনসচেতনতা জাগরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে হাওড়া নদীর জলে স্তূপিকৃত নোংরা, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলা রোধ করা যায়। যাতে নদীর জলের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত না হয় এবং নদীর জলও দূষিত না হয়। এখানে উল্লেখ্য নদীর পাড়কে মজবুত রাখার জন্য তথা নদীর উপযুক্ত নাব্যতা রক্ষা করার জন্য হাওড়া নদীর পাড়কে অনধিকার দখল মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

You may also like

Leave a Comment

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00

SOKAL SANDHYA is the Best Newspaper and Magazine 

Edtior's Picks

Latest Articles