আগরতলা : ভারতরত্ন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একজন প্রখর রাজনীতিবিদের বাইরেও ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক। তাঁর সাহিত্য প্রতিভা আমাদেরকে আজও আকর্ষণ করে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর লেখায় জাতীয় ঐক্য ও দেশের অখণ্ডতার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সোমবার উদয়পুরের রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে দুদিনব্যাপী অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে কবি ও সাহিত্যিক কিশোর রঞ্জন দে ও সাহিত্যিক রমেশ দেববর্মাকে অটল বিহারী বাজপেয়ী সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য চর্চা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কবিতা ও সাহিত্য জীবনের দিক নির্দেশনেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তিনি বলেন, বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে হাতের মুঠোয় সমস্ত তথ্য পাওয়া গেলেও বইয়ের বিকল্প নেই। অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়নে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনটিকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যেও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বচ্ছতা থাকলে সুশাসন থাকবে। তাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে। জনধন যোজনা, কিষাণ সম্মাননিধি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মত প্রকল্পগুলির সুবিধা রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের কল্যাণ ও বিকশিত ত্রিপুরা গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসব নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর একটি কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে সকলকে ভালো কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, সুশাসনের লক্ষ্যে রাজ্যে কাগজবিহীন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যা আগামীদিনে পঞ্চায়েতস্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। বর্তমান সরকার রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ডঃ পি কে চক্রবর্তী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও দৈনিক জাগরণ পত্রিকার ব্যুরো চিফ ওম প্রকাশ তিওয়ারি, বিশিষ্ট কবি বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবনীর উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিগণ অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসবের স্মরণিকার আবরণও উন্মোচন করেন।