আগরতলা : প্রতিবছরের মতো এবার রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি এলাকার সঙ্গে রাজধানী আগরতলায় গড়িয়া পূজা হয়। রাজধানীর অভয়নগর এলাকায় বসে মেলাও। আদিবাসী দেবতা ‘গড়িয়া’। পরিবারে শান্তি, সম্প্রীতি এবং জুমে অধিক ফ্লনের প্রার্থনায় গড়িয়া পূজা অত্যন্ত উতসাহের সঙ্গে উদযাপিত হয়।জনজাতিদের প্রধান উৎসব গড়িয়া পূজা৷ গড়িয়া পূজার রীতিনীতি অনেকটাই অন্য সব পূজা থেকে ভিন্ন।প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথমদিন থেকে গড়িয়া দেবতাকে নিয়ে সাতদিন পর্যন্ত এভাবে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পরিক্রমা করা হয়।গড়িয়া মূর্তি তৈরি হয় বাঁশ, আদিবাসীদের হস্ত-তাঁতে তৈরি কাপড় ও জুমের চাল দিয়ে।পূজার দিন হাঁস, মুরগি, কবুতর ও পাঠা বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে। আবার কেউ কেউ কবুতর বলি না দিয়ে গড়িয়ার কাছে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেন। তবে যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ পূজাতেও নানা পরিবর্তন এসেছে। এখন আগরতলার বিভিন্ন পাড়ার লোকজন এমনকি ক্লাবের উদ্যোগেও গড়িয়া পূজা হয়ে থাকে।বৈশাখ মাসের ৭ তারিখ প্রথা রীতি নীতি মেনে গড়িয়া পূজার করা হয়।প্রতিবছরের মতো এবারো জনজাতিদের অন্যতম উৎসব বাবা গড়িয়া পূজা আগরতলা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গাতে হয়। কৃষ্ণনগর বয়েজ ক্লাব, এডভাইজার চৌমুহনী সহ অভয়নগর এলাকায় হয় জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী বাবা গড়িয়া পূজা। অভয়নগর এলাকায় বসে দুই দিন ব্যাপী মেলাও। জনজাতিদের এই উৎসব হলেও জাতি- জনজাতি অভুয় অংশের মানুষ আনন্দে শামিল হন।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে রাজধানীতেও হয় গড়িয়া পূজা
252
previous post